চলতি বিপিএলে রীতিমতো উড়ছে রংপুর রাইডার্স। ঢাকা পর্বে হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ নিয়ে সিলেট পর্বে মাঠে নেমেছিল রংপুর। যেখানে স্বাগতিক সিলেটকে ৮ উইকেটে হারিয়ে আসরে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে সোহানের দল। এতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানটা আরও মজবুত করল রংপুর।

ঢাকা পর্ব শেষ করে সিলেট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে রংপুর। যার ফলে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে চার ম্যাচেই জয় তুলে নিলো উত্তরের এই দলটি। হেলসের দুর্দান্ত শতকে জয় দিয়েই বিপিএলের সিলেট পর্ব শুরু করল রংপুর রাইডার্স।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রনি তালুকদার, আর জাকির হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। তবে এত বড় সংগ্রহও রংপুরের দাপট থামাতে পারেনি।

লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই আজিজুল হাকিম তামিমের উইকেট হারায় রংপুর। তানজিম হাসান সাকিবের অফস্টাম্প তাক করা বলটি ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে দেরি করায় তানজিমের দিকেই ক্যাচ তুলে দেন তামিম। ক্যাচটি সহজেই লুফে নেন বোলার। শুরুতে উইকেট হারালেও ইনফর্ম সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় রংপুর। পাওয়ার প্লেতে দলটি করে এক উইকেটে ৫৪ রান।

সাইফ হাসান ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হেলসও, তিনিও ৩১ বলে এই কীর্তি গড়েন। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার ১৮৬ রানের জুটি গড়ে সিলেটের জয়ের সব আশা শেষ করে দেন। বিপিএলের ইতিহাসে এটি চতুর্থ সর্বাধিক রানের জুটি।

সাইফ ও হেলস দুজনই সেঞ্চুরির দিকে দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। সাইফ ৪৯ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। উড়িয়ে মারতে গিয়ে উয়ানজিম সাকিবের বলে আরিফুল হকের তালুবন্দি হন।হেলসকে অবশ্য থামানো যায়নি। ইংলিশ ওপেনার ৫৬ বলে ১০ চার ও ৭ ছক্কায় ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দেন ৮ রান করা ইফতিখার আহমেদ।

এর আগে সিলেটের ব্যাটিংও ছিল বেশ ইতিবাচক। রনি তালুকদার ও জজ মান্সির ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায় দল। ১২ বলে ১৮ রান করে মান্সি ফিরে গেলে তিন নম্বরে নেমে জাকির হাসানের সঙ্গে জুটি গড়েন রনি।

রনি ৩২ বলে ৫৪ রান করেন, আর জাকির ৩৮ বলে ৫০ রান করেন। তবে পল স্টার্লিং ব্যাটিং পজিশন বদলালেও সুবিধা করতে পারেননি। ১৬ বল খেলে মাত্র ১৬ রানেই থামেন এই আইরিশ ব্যাটার।

শেষদিকে সিলেটের রান বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখেন অ্যারন জোন্স ও জাকের আলি। জোন্স এক চার ও চারটি ছক্কায় ১৯ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন, আর জাকের মাত্র ৫ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রান করেন। তার এই ঝড়ো ক্যামিওতেই সিলেট দুইশ পেরোয়।

সিলেটের দেওয়া বড় লক্ষ্যও রংপুরের জন্য সহজ হয়ে যায় হেলসের দুর্দান্ত ইনিংসে। চার ম্যাচ শেষে অপরাজিত রংপুর শীর্ষস্থান মজবুত করেছে, আর সিলেট দুই ম্যাচ খেলে এখনো জয়ের দেখা পায়নি।