রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২৩৮ রান করতে পঞ্চম উইকেট জুটিতে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ১৯২ রানের জুটি করে তারা পেছনে ফেলেছেন অ্যাডাম হোস ও মাইকেল মোসলের ১৭০ রানের জুটিকে। রেকর্ডের এই ম্যাচে ৬৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে বরিশাল।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম চার ওভারে ৩০ রান তুলে বরিশাল। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই এনামুল হক বিজয়ের উইকেট তুলে নেন হারিস রউফ। সমান ১ চার ও ছক্কায় ৮ বলে ১৪ রান করে সায়েম আয়ুবীর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ওই ওভারেই আরও একটি উইকেট তুলে নেন রউফ। এবার ৩ বলে ০ রান করা ইবরাহিম জাদরানের দারুণ এক ক্যাচ নেন নাঈম শেখ।

পরের ওভারে এসে জোড়া উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ষষ্ঠ ওভারে প্রথমে ২০ বলে ২৪ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট নেন তিনি। এরপর মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় বরিশাল।

কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। সাকিব আল হাসান ও ইফতেখার আহমেদ ঝড় তুলেন রীতিমতো। এর মধ্যে ইফতেখারের ক্যাচ ফেলেন রনি তালুকদার। সাকিব-ইফতেখার মিলে এরপর বন্যা বইয়ে দেন বাউন্ডারির।

৯ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৩ বলে ৮৯ রান করেন সাকিব, শেষ ৩৯ রান তিনি করেছেন কেবল ১০ বলে। ৬ চার ও ৯ ছক্কায় ৪৫ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইফতেখার। প্রথম হাফ সেঞ্চুরির জন্য ২৯ বল খেলেনে তিনি, পরের পঞ্চাশ রান আসে ১৬ বলে।

তাদের ১৯২ রানের জুটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটের সেরা জুটি। বরিশালও পায় বড় সংগ্রহ। রংপুরের পক্ষে ৪ ওভারে কেবল ৩১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হারিস রউফ।

বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সের। ৩ চারে ১৮ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান রনি তালুকদার। তিনি হন রান আউট। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার সায়েম আয়ুবী বোল্ড হন মিরাজের বলে, ১৮ বলে করেন ১৮ রান।

ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি রংপুর। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শামীম, ২৩ বল খেলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এছাড়া ৬ চারে ১৮ বলে ৩১ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাটে ২৪ বলে আসে ৩৩ রান।