টাইটানিক জাহাজ দেখতে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ১০ দিন পর আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ থেকে সাবমার্সিবল টাইটানের কয়েকটি টুকরো উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছে। বুধবার টাইটানের ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের তলদেশ থেকে উদ্ধার করে আনার ছবি প্রথম প্রকাশ করা হয় বলে জানায় গার্ডিয়ান।

প্রকাশিত ওই ছবিতে দেখা যায়, টাইটানের কয়েকটি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টাইটানের সামনের নাকের অংশ ও জানালা। এগুলো রিজোন আর্কটিক শিপ থেকে সেন্ট জোন্সের নিউফাউন্ডল্যান্ডে কানাডার কোস্ট গার্ড ঘাঁটিতে নামানো হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে আরোহীদের দেহাবশেষ পাওয়া যেতে পারে।

গত ১৮ জুন আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ডুবোযান টাইটানে করে সাগরের তলদেশে যান চালকসহ পাঁচজন। সমুদ্রের তলদেশে কাছাকাছি পৌঁছানোর পর পানির প্রচণ্ড চাপে বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায় টাইটান।

সাধারণত সাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে গিয়ে আবার ফিরে আসতে ডুবোজাহাজটির আট ঘণ্টার মতো সময় লাগে।

গত ১৮ জুন  সাগরে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে ছোট আকারের ওই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর টাইটানের অনুসন্ধানে সমুদ্রের বিশাল এলাকা জুড়ে অনুসন্ধান চলছিল। গত ২২ জুন মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় মার্কিন কোস্ট গার্ড।

১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের নিউ সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রায় বিশাল আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল তখনকার সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষটি রয়েছে আটলান্টিকের তিন হাজার ৮০০ মিটার নিচে। ১৯৮৫ সালে ওই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।