রাঙ্গামাটিতে ডুবে যাওয়া বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের পানি সরে যাওয়ায় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ সময় সাজেকে আটকা পড়া আড়াইশো পর্যটক নিরাপদে ফিরে গেছেন। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের বহনকারী গাড়িগুলো সাজেক থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বৃষ্টি থেমে গেছে। এ সময় কাচালং নদীর পাহাড়ি ঢলও কমে যায়। ফলে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের তলিয়ে যাওয়া তিন স্থানের পানি কমে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। গত তিন দিনে আটকা পড়া ২৬০ জন পর্যটক খাগড়াছড়ি শহরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরে অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফেসবুকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে পোস্টটি করে।
এতে উল্লেখ করা হয়, অতি বৃষ্টির কারণে বাঘাইহাট জোনের আওতাধীন কাসালং নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে এবং বাঘাইহাট থেকে সাজেকে যাওয়ার পথে তিনটি স্থানের (বাঘাইহাট বাজার, দোপাতাছড়া, মাসালং বাজার) পানি ৬ ফুট উচ্চতায় পৌঁছে যায়। এছাড়াও গত ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বাঘাইহাট জোনের আওতাধীন ডাবপাড়া এলাকায় ভূমিধস ঘটায় সাজেক গমনাগমনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে ২১-২২ আগস্ট তারিখে সাজেকে অবস্থানরত ২৬০ জন পর্যটক আটকা পড়েছিলেন।
পোস্টে জানানো হয়, শুক্রবার (২৩ আগস্ট) খাগড়াছড়ির বন্যার পানি রাস্তা থেকে নেমে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনের তত্ত্বাবধানে এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় যান চলাচলের উপযোগী করে সাজেকে আটকে পড়া ২৬০ জন পর্যটককে ৭৩টি যানবাহন যোগে নিরাপদে সরিয়ে আনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
পর্যটকদের জন্য এছাড়াও, রিসোর্ট মালিক সমিতি সাজেকে আটকপড়া পর্যটকদের রিসোর্টে থাকার ভাড়া মওকুফ করে এবং কিছু পর্যটকের বিনা খরচে খাবারের ব্যবস্থা করে।