দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীকে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (০৫ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ৫৫ পদাতিক ডিভিশন আয়োজিত রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় একটি পদাতিক ব্রিগেড গ্রুপের অনুশীলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির অহংকার ও বিশ্বাসের জায়গা। এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ‘প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম কল্যাণ’ এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আভিযানিক দক্ষতা অর্জন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা সেনাসদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণের এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলবে।

প্রধান উপদেষ্টা অনুশীলনস্থলে আগমন করলে তাকে অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, যশোর এরিয়া মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া প্রত্যক্ষ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় সামরিক প্রশিক্ষণ যেন রূপ নেয় এক সত্যিকারের যুদ্ধের ময়দানে। সেখানে শত্রুপক্ষ দেশের ওপর হামলা করলে কীভাবে তা মোকাবিল করা হবে, তার বাস্তব প্রতিচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। চিত্রায়িত হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক-কামান আর মর্টার শেলের মাধ্যমে শত্রু বধের দৃশ্য। গোলন্দাজ বাহিনীর আক্রমণ আর সাঁজোয়া বাহিনীর কসরত ফুটিয়ে তোলা হয়। সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় বিমানবাহিনীও। শত্রুপক্ষ প্রতিহতে বিমানবাহিনীর জঙ্গিবিমান, আর্মি অ্যাভিয়েশনের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার আর প্যারা-কমান্ডোর আক্রমণ দেখানো হয় সেখানে।

পরে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।