দেশে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে গত কয়েক বছর ধরে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে পৃথক চারটি কোটেশনের মাধ্যমে ৪ কার্গো এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে মোট খরচ হবে এক হাজার ৬৩৭ কোটি ৪৩ লাখ ২২ হাজার টাকা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি এলপি ১ কার্গো, সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভর প্রাইভেট লিমিটেড এক কার্গো এবং সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া ২ কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়ানো (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১ এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি এলপি থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ ৯.৭৮৫৮ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ৪২৩ কোটি ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫ টাকা ব্যয় হবে।
এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ ৯.৩৬৯০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৪০৫ কোটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৮ টাকা।
সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি ৪০৯ কোটি ৫১ লাখ ৩১ হাজার ৪০ টাকা ব্যয়ে আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ৯.৪৭ মার্কিন ডলার।
অপর এক প্রস্তাবে একই প্রতিষ্ঠান থেকে আর এক কার্গো এলএনজি ৩৯৯ কোটি ৫১ লাখ ৫২ হাজার ৭৬১ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ৯.২৩৮৮ মার্কিন ডলার।