ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জাতিসংঘকে বলেছে, উত্তর গাজার ১১ লাখ বাসিন্দাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তর করা উচিত। শুক্রবার (১৩ই অক্টোবর) জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র এ কথা বলেন। এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জাতিসংঘ বলেছে, উত্তর গাজার ওয়াদি এলাকায় ১১ লাখ মানুষ বসবাস করে। যা সমগ্র গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে এই ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিব।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, বিধ্বংসী মানবিক পরিণতি ছাড়া এই ধরনের স্থানান্তর সম্ভব নয়।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ইসরাইলের এমন পদক্ষেপ গাজায় চলমান ট্র্যাজেডিকে আরও বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতে রূপান্তরিত করতে পারে। গাজায় জাতিসংঘের সব কর্মী, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্লিনিকের কর্মীসহ সবাইকে সরিয়ে নিতে বলেছে ইসরাইল।
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে মূল গাজা সিটি, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির, বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুন অঞ্চল রয়েছে।
ইসরাইলের চরম নৃশংসতার শিকার গাজার বাসিন্দারা। দখলদার বাহিনীর হাত থেকে ছাড় পাচ্ছেন না শিশু ও নারীরাও।
গেল শনিবার (০৭ই অক্টোবর) হামাস যোদ্ধাদের আকস্মিক হামলার পর থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। এখনও গাজা সীমান্তে সেনা, ভারী কামান ও ট্যাঙ্ক নিয়ে স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল।
ইসরাইলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। অপর দিকে গাজায় ইসরাইলি পাল্টা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। সেখানে বাস্তুচ্যুত হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ।
দখলদার বাহিনী শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। গাজায় খাবার সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিও বন্ধ করে দিয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি না দিলে এগুলোর কোনো কিছুই গাজায় সরবরাহ না করার অঙ্গীকার করেছে তারা। ফলে গাজায় মানবিক সংকট গভীর থেকে আরও গভীর হচ্ছে।