মিয়ানমারে গত ৪ মাসে ৮১৯টি বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনা সরকার। সেনাবাহিনীর এই বিমান হামলায় ৩৫৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার ভিত্তিক এক গবেষণা গ্রুপ।
এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে জাতিসংঘ।
গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমার সেনাদের সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই রাখাইন রাজ্য উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী। এতে প্রাণ হারাচ্ছে বহু বেসামরিক নাগরিক।
রাখাইন রাজ্যে প্রায় ছয় লাখ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গার বসবাস। একটি যৌথ বিবৃতিতে বিদেশ থেকে সক্রিয় রোহিঙ্গাদের কয়েকটি অধিকার সংগঠন অভিযোগ করেছে, গত সপ্তাহে বুথিডাং শহর দখলের সময় আরাকান আর্মির যোদ্ধারা রোহিঙ্গাদের জোর করে উদ্বাস্তু করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। শহরটির বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। চালানো হয়েছে লুটপাট।
এই পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মি বলছে, তারা রাখাইন জনগোষ্ঠীর আরও স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে। সেনা বাহিনী বুথিডাং শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তাই বাসিন্দাদের নিরাপদে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেয়া হয়েছে।
এদিকে, রাখাইন রাজ্যের এই চলমান সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মিয়ানমার ভিত্তিক ‘ন্যান লিন থিট অ্যানালিটিকা’ নামের এক গবেষণা গ্রুপ জানিয়েছে, মিয়ানমারে গত ৪ মাসে সামরিক বাহিনী ৮১৯টি বিমান হামলা চালিয়েছে। সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে রাখাইন রাজ্যে ১৮৭টি, তারপরে সাগাইং অঞ্চলে ১১৯টি। আর এসব বিমান হামলায় গত ৪ মাসে ৩৫৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।