ভোটকেন্দ্রে ৫০শতাংশ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় আওয়ামী লীগসহ নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলো। দলীয়ভাবেও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি ভোটারদের বিরত থাকতে প্রচারণা ও সহিংসতা করছে। তবে ভোটারদের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করতে সব পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশের বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোর ভোটগ্রহণের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ভোট দেয়ার গড় হার ছিল ৫৯ শতাংশ। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ৫৫.৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ১৯৯৬ সালের ১২ই জুনের নির্বাচনে ৭৫.৬০ শতাংশ ভোট পড়ে। এরপর ২০০১ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়ে ৭৫ শতাংশ। সবচে কম ভোট পড়েছে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে, মাত্র ২৬.৭৪ শতাংশ। এরপর কম ভোট পড়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে। ভোটের হার ছিলো ৪০ শতাংশ। ২০১৮সালের ভোটের হার ছিলো ৮০শতাংশ। ভোটদানের হার সবচেয়ে বেশি ছিল ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে। ভোট পড়েছিল ৮৭.১৩ শতাংশ। বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। এটিই দেশে সংসদ নির্বাচনে ভোটদানের সর্বোচ্চ হার।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করছে। আর নির্বাচন মুখী দলগুলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে প্রচারণা চালাচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের জন্য মোট ভোটার প্রায় ১২ কোটি। এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটার সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রে একটি এই ভোট বড় নির্ণায়ক হতে পারে। আরেকটি বড় ভোটার অংশ নারীরা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও নারী উপস্থিতি যেমন বাড়বে তেমনি নির্বাচন উৎসবমুখর হবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।