আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্তোয়েনেট মনসিও সায়েহ ৫ দিনের সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। আজ (শনিবার) দুপুরে ঢাকায় আসেন তিনি। অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ -এর ঢাকা সফর নিয়ে আইএমএফের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সহনশীল রাখতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে আইএমএফ। এজন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ঢাকা সফর করছেন মনসিও সায়েহ।
অর্থ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, আজ (শনিবার) তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। আগামী ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ঢাকায় থাকবেন। ঢাকায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এসব বৈঠকে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করা হবে। গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের আবেদন করলে শর্তসাপেক্ষে তা দিতে রাজি হয় সংস্থাটি।
এদিকে, গত বছর অক্টোবর মাসে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে একটি দল আইএমএফের সঙ্গে দেখা করে। সে বৈঠক শেষে গভর্নর জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে ঋণ পাবে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে সায়েহ ভারত সফর করছেন। দিলি থেকে তিনি ঢাকায় আসেন। ১৮ই জানুয়ারি পদ্মা সেতু ভ্রমণ করবেন। ১৬ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে সায়েহ আইএমএফের সদর দপ্তরে প্রতিবেদন দেবেন। ওই প্রতিবেদনটি আইএমএফের পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হবে।
সরকার আশা করছে, ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে। প্রথম কিস্তি বাবদ ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার মিলবে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর একটি করে কিস্তি দেওয়া হবে। সাত কিস্তিতে দেওয়া এ ঋণের শেষ কিস্তি পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। ঋণের গড় সুদ হার ২ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে, ঋণের কিস্তি খুব কম হলেও আইএমএফের ঋণ পেলে অন্য সংস্থাগুলোর ঋণ পাওয়াও সহজ হবে। এ কারণে সরকার আইএমএফের ঋণ দেওয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছে।