বিশ্বের সবচেয়ে ধনী জেফ বেজোসের আগেই মহাকাশে রওনা দিয়েছেন ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন।

সোমবার (স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা ৭টায়) নিজের প্রতিষ্ঠানের তৈরি সুপারসনিক রকেট বিমানে করে মহাকাশে রওনা দেন তিনি। আগামী ২০ জুলাই ব্লু অরিজিনের প্রথম মানববাহী অভিযানে সওয়ার হবেন বেজোস। যাত্রাসঙ্গী হবেন ছোট ভাই মার্ক বেজোসও।

মহাকাশযান নির্মাতা কোম্পানি ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন।

টানা দুই দশকের গবেষণা আর চেষ্টার পর নিশ্চিত হয়েছে তার এই যাত্রা। ২০০৪ সালে ভার্জিন গ্যালাক্টিক প্রতিষ্ঠা করেন ব্র্যানসন। লক্ষ্য ছিল, এমন একটি মহাকাশযান তৈরি করবেন, যেটিতে করে ৮ জন মানুষ মহাকাশে যাবেন। এর মধ্যে দুজন বৈমানিক আর ৬ জন যাত্রী থাকবেন।

রিচার্ড ব্রানসনের সেই স্বপ্নপূরণের দিনে নির্দিষ্ট সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেউ মেক্সিকো থেকে দেড় ঘণ্টার মিশনে যাত্রা করবে তার মহাকাশযান ভিএসএস ইউনিটি।

মাদারশিপ হোয়াইট কিং টু’এর সঙ্গে লাগোয়াভাবে থাকবে ভিএসএস ইউনিটি। মাদারশিপটি ৪৫ মিনিটের মধ্যে ভিএসএস ইউনিটি নিয়ে ৫০ হাজার ফিট ওপরে উঠবে। এরপর ভিএসএস ইউনিটি আলাদা হয়ে যাবে।
ভিএসএস ইউনিটি সাব-অরবিটাল রকেট। মহাকাশে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য নিজেদের ভরশূন্য অনুভব করবেন। এরপর স্পেসশিপ টু নভোচারীদের পৃথিবীতে নিয়ে আসবেন।

মহাকাশ ভ্রমণের প্রাক্কালে এক সাক্ষাৎকারে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ব্র্যানসন বলেছেন, ‘এটা এক্সট্রা অর্ডিনারি এক ভ্রমণ হতে যাচ্ছে।’

ব্র্যানসনের ৯ দিন পরই মহাকাশে যাচ্ছেন বেজোস। আগামী ২০ জুলাই নিজের কোম্পানি ‘ব্লু অরিজিন’ কোম্পানির বাহন ‘নিউ শেপার্ড’-এ করে যাবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন ছোট ভাই মার্কসহ আরও একজন।
অনলাইনে নিলামের মাধ্যমে টিকিট পেয়েছেন ওই ব্যক্তি, যার নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। টিকিটের দাম পড়েছে ২৩৮ কোটি টাকার কিছু বেশি।

একটি রকেট নিউ শেপার্ডকে উপরে নিয়ে ছেড়ে দিয়ে আসবে। উড্ডয়ন থেকে শুরু করে অবতরণ পর্যন্ত এটা হবে মাত্র ১০ মিনিটের ফ্লাইট। এরপর নিউ শেপার্ড ক্যাপসুলটি প্যারাসুটের সহায়তায় পৃথিবীতে ফিরে আসবে।