আইপিএলে নিজেদের অভিষেক আসরেই বাজিমাত করল গুজরাট টাইটান্স। প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই শিরোপা জিতেছে দলটি। রোববার (২৯শে মে) আইপিএলের ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে নবাগত দলটি। ১৪ বছর পর শিরোপা স্পর্শের সুযোগ এলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস।

গুজরাটে আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামকে দাবি করা হয় এটাই নাকি বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই রাজ্যেরই নতুন ফ্রাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্স ফাইনালে। স্বাভাবিকভাবেই এই মাঠের অধিকাংশ সমর্থক গুজরাটের। খালি হাতে বাড়ি ফিরলেন না গুজরাটের সমর্থকরা। পুরো স্টেডিয়াম মাতিয়ে রেখেছিলেন তারা।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি অভিষেক আইপিএল চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান রয়্যালস। রাজস্থানের ব্যাটারদের ক্রিজে স্থায়ী হওয়ার কোনো সুযোগই দেননি গুজরাট অধিনায়ক পান্ডিয়া। চার ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। রাজস্থানের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন বাটলার। তার ৩৫ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি বাউন্ডারি।

রাজস্থানের দুই ওপেনার বাটলার ও জয়সওয়াল ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি। প্রথম থেকেই ধীর গতিতে ব্যাট করতে থাকেন এবারের আসরের সেরা ব্যাটসম্যান বাটলার। এতেই সুযোগের সৎ ব্যবহার করেন গুজরাট অধিনায়ক পান্ডিয়া।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে এসে যশ দয়াল জসওয়ালকে সাজঘরে ফেরান পান্ডিয়া। এরপর রাজস্থান অধিনায়ক স্যামসনের উইকেটও তুলে নেন পান্ডিয়া। তাকে ফেরান ১৪ রানে। আর পান্ডিয়ার তৃতীয় স্বীকার ছিল রাজস্থানের ক্যারিবীয় ব্যাটার হেটমায়ার। ১২ বলে ১১ রানে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরে প্যাভিলিয়নে ফেরান তাকে।

শেষ পর্যন্ত কেউ ভালো ইনিংস খেলতে না পারায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে থামে রাজস্থান। গুজরাটের হয়ে পান্ডিয়া ৩ উইকেট ছাড়াও রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোর নেন ২ উইকেট এবং শামি, দয়াল ও রশিদ খান নেন একটি করে উইকেট।

জবাবে শুরুতে ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট হারালেও সুবহাম গিলের ৪৩ বলে ৪৫, অধিনায়ক পান্ডিয়ার ৩০ বলে ৩৪ এবং মিলারের ঝড়ো ১৯ বলে ৩২ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৭ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখেই শিরোপা জিতে নেয় গুজরাট টাইটানস। রাজস্থানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন বোল্ট, কৃষ্ণ এবং চাহাল।