সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা জিতলেন ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’খ্যাত অভিনেতা জনি ডেপ। অ্যাম্বারকে ১৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ভার্জিনিয়ার একটি আদালতের জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে যে সহিংসতার অভিযোগ এনেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড, তা ‘মিথ্যা ও অবমাননাকর’। এ কারণে অ্যাম্বারকে ১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনার পেছনে অ্যাম্বারের ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ ছিল বলেও জানিয়েছেন আদালত।

তবে ডেপের বিরুদ্ধে আনা কিছু অভিযোগের রায় হার্ডের পক্ষে গেছে। জুরিরা প্রমাণ পেয়েছেন, ডেপের আইনজীবীও হার্ডের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অবমাননাকর বিবৃতি দিয়েছেন। এজন্য হার্ডকে ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ‘দ্য রাম ডায়রি’ চলচ্চিত্রে সহশিল্পীর অভিনয়কালে জনি ডেপের প্রেমে পড়েন অ্যাম্বার হার্ড। ৩০ বছরের অ্যাম্বার ২০১৫ সালে বিয়ে করেছিলেন ৫২ বছরের জনি ডেপকে। কিন্তু ১৫ মাসের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন হার্ড। টেক্সাসের এই অভিনেত্রী ‘অপরিবর্তনশীল মতবিরোধকে’ কারণ দেখিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের সুপিরিয়র কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন।

২০১৬ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের আবেদন করেন হলিউড তরকা দম্পতি জনি ডেপ ও আম্বার হার্ড। সেই সময়ে আদালতের কাছে দুইজন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, ভবিষ্যতে তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে জনসম্মুখে আর কোনো ধরনের আলোচনা করবেন না তারা।

এর প্রায় দুই বছর পর ওয়াশিংটন পোস্ট-এ একটি উপসম্পাদকীয় লেখেন আম্বার হার্ড। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, জনি তাকে শারীরিক, মানসিক ও মৌখিকভাবে নির্যাতন করেছেন। অবশ্য ডেপ সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পত্রিকায় নিজের নামে মিথ্য অভিযোগ আনায় প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা ঠোকেন ৫৮ বছর বয়সি জনি ডেপ। পরে হার্ডও উল্টো ১০০ মিলিয়ন ডলার মানহানির মামলা করেন জনির বিরুদ্ধে।