অধিকার আর অংশগ্রহণের প্রশ্নে নারী-পুরুষের ব্যবধান কমানোর সূচকে গত বছরের তুলনায় পেছালেও দক্ষিণ এশিয়ায় এখনও সবচেয়ে ভালো অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় নারী পুরুষের ব্যবধান বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম। প্রকাশিত সূচকে গত বছরের চেয়ে ৬ ধাপ পিছিয়ে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে ৭১ নম্বরে নেমে গেছে বাংলাদেশ। গতবছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৬৫তে। আর তার আগের বছর ছিল ৫০তম অবস্থানে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ নামের এই সূচক প্রকাশ করেছে।

উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকলেও বিশ্বে লিঙ্গ সমতায় ব্রাজিল (৯৪), চীন (১০২) ও জাপানের (১১৬) চেয়েও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

২০০৬ সাল থেকে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম তাদের এই লিঙ্গ সমতা সূচক প্রকাশ করে আসছে। অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবাপ্রাপ্তি এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন- এই চার মাপকাঠিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য বিবেচনা করে এই সূচক তৈরি করা হয়।

সূচকে একটি দেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয় ১ ভিত্তিক স্কেলে, যেখানে ১ মানে হল পুরো সম অধিকার, আর শূন্য মানে পুরোপুরি অধিকার বঞ্চিত। এই হিসাবে বাংলাদেশের মোট স্কোর এবার ০.৭১৪, যা গতবছর ছিল ০.৭১৯। প্রথম বছরে, অর্থাৎ ২০০৬ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ০.৬২৭।

সূচকে ০.৯০৮ স্কোর নিয়ে এই বছরও শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। শীর্ষ দশের বাকি নয় দেশ হল ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউ জিল্যান্ড, সুইডেন, রুয়ান্ডা, নিকারাগুয়া, নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড ও জার্মানি।

ডব্লিউইএফ বলছে, ২০২২ সালে নারী-পুরুষ বৈষম্য ৬৮.১ শতাংশ পর্যন্ত কমানো গেছে। এই ধারায় এগোলে বিশ্ব থেকে লিঙ্গ বৈষম্য দূর হতে ১৩২ বছর সময় লাগবে।