তীব্র তাপদাহ ও দাবানলে বিপর্যস্ত ইউরোপের জনজীবন। একদিকে দাবানলে জ্বলছে বনভূমি, অন্যদিকে গরমে পুড়ছে মানুষ। সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ বইছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল, স্পেন, বেলজিয়াম ও রোমে। দাবানল ও তাপদাহে বেশি মানুষ মারা গেছে পর্তুগাল ও স্পেনে। যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে আরো উচ্চ তাপমাত্রার সতর্কতা জারি করেছে দেশ দু’টি আবহাওয়া অফিস।

টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ ইউরোপের মানুষ। এরিমধ্যে যুক্তরাজ্যে তাপমাত্রার পারদ অতিতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার দেশটির ২৯টি এলাকায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিস।

তীব্র তাপদাহে লন্ডনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি এলাকায় শুরু হয়েছে দাবানল। আগুনে পুড়ে গেছে এসব এলাকার পার্ক, তৃণভূমি, ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসল। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের আড়াই শতাধিক কর্মী। দাবানল ছড়িয়ে পড়া এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

তীব্র তাপদাহে পর্তুগালে বেড়েই চলেছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও প্রাণহানির সংখ্যা। গত কয়েকদিনের তাপদাহে দেশটিতে এপর্যন্ত মারা গেছে এক হাজারের বেশি মানুষ। অসহ্য গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেকে।

অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত স্পেন। দেশটিতে এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭’শ জনে। তাপপ্রবাহে স্পেনের ৩০টিরও বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। আগুনে পুড়ে মারা গেছে দু’জন।

ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দাবানলের তীব্রতা বেড়েছে। জিরন্ড অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১৯ হাজার হেক্টরের বেশি বনাঞ্চল। নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষকে। আগুন নেভাতে কাজ করছে দমকল বাহিনী।

বেলজিয়াম ও জার্মানিতেও অসহনীয় গরম পড়ছে। বেলজিয়ামে সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশ দু’টির আবহাওয়া বিভাগ। প্রচণ্ড তাপদাহে জার্মানির ১০টি রাজ্যে দাবানলের সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

গ্রিসেও ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। এথেন্সের আশেপাশের চারটি এলাকার মানুষ ও হাসপাতালের রোগীদের সরিয়ে নেবার নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া রোমের বনাঞ্চলেও দাবানল শুরু হয়েছে।