তুরস্কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো আগে ঘটা একটি দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া কর্মীদের ওপর আঁছড়ে পড়লে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

রোববার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে গাজিয়ানটেপের কাছে একটি সড়ক দুর্ঘটনাস্থলে একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে ১৬ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়। রোববার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি ও আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়েছে, প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় সময় শনিবার সকালে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ান্তেপে ঘটে। আর দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে এর কয়েক ঘণ্টা পর সেখান থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরের শহর মারদিনে। সেখানে মানুষের ভিড়ের মধ্যে একটি লরি ওঠে যায়।

গাজিয়ান্তেপে প্রথমে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। তখন সেখানে উদ্ধারতৎপরতা চালাতে ছুটে আসেন অগ্নিনির্বাপক ও জরুরি বিভাগের উদ্ধারকর্মীরা। পাশাপাশি ওই দুর্ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে সেখানে সাংবাদিকেরাও উপস্থিত হন। আর ঠিক এমন সময়ই সেখানে দ্রুতগতির একটি বাস উপস্থিত লোকদের জটলার মধ্যে উঠে যায় এবং প্রায় ২০০ মিটার দূরে গিয়ে উল্টে যায়।

গাজিয়ান্তেপের দুর্ঘটনার একটি ছবিতে দেখা গেছে, বাসটির ধাক্কায় সেখানে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অগ্নিনির্বাপক কর্মী, উদ্ধারকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজিয়ান্তেপের গভর্নর এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, সেখানকার বাসচাপায় ১৬ জন নিহত ব্যক্তির মধ্যে তিনজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী, দুজন জরুরি উদ্ধারকর্মী ও দুজন সাংবাদিক রয়েছেন। তুরস্কের সাংবাদিক ইউনিয়নও ওই ঘটনায় দুজন সাংবাদিক নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। এখানকার দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ২১ জন।
দেশটির বিচারমন্ত্রী এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।

দ্বিতীয় দুর্ঘটনার বিষয়ে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৬ ব্যক্তি নিহতের পাশাপাশি ২৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।