ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দিশাহীন ব্যাটিং আর বোলিংয়ে টাইগারদের হারতে হলো ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আজ রোববার (০৯ই অক্টোবর) ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। মামুলি লক্ষ্য ছুঁতে দুইটির বেশি উইকেট খরচ করতে হয়নি স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারা বাংলাদেশ একাদশে আজ তিন পরিবর্তন আনে। নাসুম, মোস্তাফিজ ও সাব্বিরের জায়গায় আসেন সাকিব, শান্ত ও শরীফুল। সে ধারায় ওপেনিংয়েও আসে পরিবর্তন। আজ ওপেন করেন মিরাজ ও শান্ত।
তবে এই দুজনও ব্যর্থ বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে। ১.৪ ওভারেই ক্যাচ তুলে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাউদির বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৫ রান। এরপর জুটি গড়েন শান্ত ও লিটন দাস। তাদের জুটি বেশ কিছু সময় মাঠে ছিল। তবে তারা রানের চাকা সচল করতে পারেননি।
এই জুটিতে যোগ হয়েছে ৪১ রান। অষ্টম ওভারে এসে অফস্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল ভাঙেন জুটি। লিটন ১৬ বলে ১৫ রানে ফিরেছেন। দলের খাতায় আরো ৬ রান যোগ হতেই ফেরেন শান্তও। ২৯ বলে এই ব্যাটার সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন।
এরপর আর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। আফিফ বড় একটি সময় ক্রিজে থাকলেও তা কোনো কাজে আসেনি মন্থর ব্যাটিংয়ে। ২৬ বলে ২৪ রান করেছেন সা¤প্রতিক সময়ে ফর্মে থাকা বাঁ-হাতি ব্যাটার।
মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২ রান। ইয়াসির ৯ বলে ৭ রান করে বিপদই বাড়িয়ে গেছেন। শেষ দিকে নুরুল বিস্ফোরক ব্যাটিং করলেও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মন্থর ব্যাটিংয়ে স্কোর আর বড় হয়নি। ফলাফল ২০ ওভার খেলে ১৩৭ রানেই থেমে গেছে বাংলাদেশ। সোহান ২ ছয় আর ২ চারে ১২ বলে করেছেন ২৫ রান। সাকিব ১৬ বলে করেছেন ১৬ রান।
৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ব্রেসওয়েল নিয়েছেন ২ উইকেট। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট আর ইশ সোধিও নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দেখেশুনে শুরু করে কিউইরা। তবে চতুর্থ ওভারে শেষ বলে ভুল শটে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিন অ্যালেন। এরপর ব্যাটে আসা কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে। দলীয় ১৫তম ওভারে যখন এই জুটি ভাঙে তখন নিউজিল্যান্ডের রান ১০৯। জয়ের জন্য দরকার আর মাত্র ২৯।
কনওয়েকে দর্শক বানিয়ে একাই বেশিরভাগ রান করে দলকে সিরিজের প্রথম জয় এনে দেন গ্লেন ফিলিপস। এই ব্যাটার ৯ বলে করেন ২৩ রান। কনওয়ে ৫১ বলে অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ২৯ বলে আউট হন ৩০ রান করে।
বাংলাদেশের হয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ও অপরটি হাসান মাহমুদ। এই হারে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে গেল।