গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১২ই অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে আসনটির উপনির্বাচন বন্ধের ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শুরুতেই অনিয়ম, কারচুপি, জালিয়াতি, কেন্দ্র দখল এবং গোপন কক্ষে বিভিন্ন লোকজনের উপস্থিতির অভিযোগ আসতে থাকে ইসিতে। এসব অভিযোগে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ৫০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে ইসি। সবশেষ দুপুরে ভোটগ্রহণ পুরোপুরি বন্ধের কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

এবার গাইবান্ধার উপ-নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। পর্যবেক্ষণ শেষ সিইসি জানান, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

তিনি বলেন, আইন ভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। আমরা দেখেছি নির্বাচন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আপনারাও দেখেছেন ভোটের গোপন কক্ষে কী হচ্ছে। সেখানে সুশৃঙ্খলভাবে কিছু হচ্ছে না।

সিইসি আরও বলেন, আমরা অনেককেই দেখেছি যে, গেঞ্জি-শাড়ি পরে যেখানে প্রতীক আছে সেখানে গেছেন। তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থি। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারা আইন মানছেন না তাদের আমরা ডাকাত-দুর্বৃত্ত বলতেই পারি। কারণ আইনের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

এদিকে সিইসির নির্বাচন বন্ধের ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ছাড়া একযোগে বাকি চার প্রার্থী ভোট বর্জন করেছিলেন। ভোট বর্জন করা প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ২৩শে জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর তফসিল অনুযায়ী শুরু হয় ভোটগ্রহণ। কিন্তু শুরুতেই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে ইসিতে।