ঢাকার নয়া পল্টনে সহিংসতার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, সেখানে ‘বাধ্য হয়েই’ বুলেট ছুড়তে হয়েছে পুলিশকে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এসময় বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, কোনোভাবেই সড়কে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। এসময় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল¬াহ আল মামুন ও ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সঙ্গে ছিলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা সবসময়ই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বলি। আপনারা মিছিল, মিটিং করেন। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুপচাপ বসে থাকতে পারে না।

সংঘর্ষের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের ওপর বিএনপি কর্মীরা মারমুখী ছিল। তারা ইটপাটকেল ছুড়েছিল। সেটি মোকাবিলা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন এমন ৪৯ জন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অস্ত্র, লাঠি দিয়ে তাদেরকে আহত করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, বিএনপি বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় সমাবেশ করেছে। তাদের যা বলার মন খুলে বলেছে। এখন তারা ঢাকায় যে স্থানে সমাবেশ করতে চাইছে, সেখানে বড় জমায়েতের সুযোগ নেই। এ জন্য বিকল্প চিন্তা করতে বলা হয়েছে। তারা সোহরাওয়ার্দী কিংবা কালশীতে সমাবেশ করুক। কিংবা বিকল্প থাকলে পুলিশ কমিশনারকে বলুক। আমরা আপনাদের পুরোপুরি সহযোগিতা করব।

১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ ছড়ানোর মধ্যে গতকাল (বুধবার) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া দলটির নেতা-কর্মীদের উপর চড়াও হয় পুলিশ। এসময় উভয়ের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।

এর আগে দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ¬ব কুমার সরকার বলেন, গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ৩৩ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের অনেকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা গতকাল সতর্কতামূলক অবস্থানে ছিলাম। কাউকে মারধর, হামলা করার উদ্দেশ্য পুলিশের ছিল না। কিন্তু এক পর্যায়ে যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায ব¬ক করে অবস্থান নেন, জনসাধারণের চলাচল বিঘঘœ সৃষ্টি করেন, তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

বিপ¬ব কুমার সরকার আরও বলেন, এক পর্যায়ে ডিসি মতিঝিলসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। যখন পুলিশের ওপর হামলা হয় তখন জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বাধ্য হয়েছি অভিযান পরিচালনার জন্য।