বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়েছে ভারত। সফরকারীরা চট্টগ্রামে আগে ব্যাট করে অলআউট হয়ে তুলেছে ৪০৪ রান। প্রথম দিনে ২৭৮-এর সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে লোকেশ রাহুলের দল সংগ্রহ করেছে ১২৬ রান। প্রথম ইনিংসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন চেতেশ্বর পূজারা। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারায় এবং ভারতীয় ব্যাটারদের দৃঢ়তায় নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪০৪ রান করে সফরকারীরা। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন পূজারা, বাংলাদেশের তাইজুলের শিকার চার উইকেট।

দ্বিতীয় দিনের শুরুটা স্পিন দিয়ে করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম ওভার করেন আগের দিনের সবচেয়ে সফল বোলার তাইজুল ইসলাম। কয়েক ওভার পরই আরেক প্রান্তের বোলার এবাদত হোসেন তৈরি করেন সুযোগও। তার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন আয়ার।

আবারও জীবন পান তিনি। এবার অবশ্য বেশিক্ষণ বাঁচতে পারেননি। গতকাল এবাদতের বল স্টাম্পে লেগেও বেলস পড়েনি, আজ ক্যাচ ফেলেছেন লিটন। শেষ অবধি আয়ারের স্টাম্প উপড়ে তাকে আউট করেন এবাদত। ১০ চারে ১৯২ বলে ৮৬ রান করে আউট হয়ে যান ভারতীয় ব্যাটার।

এরপরই খুঁটি গেড়ে বসেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদ্বীপ যাদব। অষ্টম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৯২ রান। অবশেষে তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অশ্বিন তার বলে এগিয়ে আসলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। ২ চার ও ছক্কায় ২৬ বলে ১৪ রান করেন অশ্বিন।

সঙ্গী ফিরে যাওয়ার পর যাদবও ফিরে যান দ্রুতই। তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ৫ চারে ১১৪ বলে করেন ৪০ রান। পরে দুই ছক্কায় ১০ বলে ১৫ রান করেন উমেশ যাদবও।

এর আগে, চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় ভারত। শুরুতেই ৪৮ রানে ৩ উইকেট ও ১১২ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর দিনটা বাংলাদেশের বোলারদেরই ধরে নিয়েছিলো প্রায় সবাই। কিন্তু চেতেশ্বর পুজারা এবং স্রেয়াশ আয়ার মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৪৯ রানের বড় জুটি গড়ে বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেন।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ৪৬ ওভারে ১০ মেডেনসহ ১৩৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল, ৩১ ওভার ৫ বলে ৬ মেডেনসহ ১১২ রান দিয়ে সমান উইকেট নিয়েছেন মিরাজও। এবাদত ও খালেদ পেয়েছেন এক উইকেট করে। দ্বিতীয় দিনে বল না করা সাকিব ১২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য।