প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিল আর আওয়ামী লীগ পড়ে গেল, এত সহজ না। তিনি বলেন, ‘একটা কথা আমি বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, জনগণের কল্যাণে কাজ করে। কেউ আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিলো, আর আওয়ামী লীগ পড়ে গেলো, এত সহজ নয়।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ পুড়িয়ে যারা আনন্দ পায় তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খুব আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ১০ তারিখ চলে গেল গোলাপবাগে, সেটা আমি বলতে চাই না। সেখানে যেতে হলো। এখন আবার বলে ১১ তারিখ থেকে আন্দোলন করবে তারা। তাদের সাথে আবার অতি বাম, অতি ডান, সব অতিরা এক জায়গায় হয়েছে। আতি-পাতি নেতা হয়ে তারা নাকি একেবারে ক্ষমতা থেকে আমাদের উৎখাত করবে! আওয়ামী লীগকে উৎখাত এত সহজ নয়।

তিনি বলেন, অবৈধ ক্ষমতাকে বা কেউ ভোট চুরি করলে ক্ষমতা থেকে হটানো- সেটা আওয়ামী লীগ পারে আমরা তা প্রমাণ করেছি। এটা আমরা প্রমাণ করেছি বার বার। আমরা গণতন্ত্রের চর্চা নিজের দলে করি, দেশেও গণতন্ত্র চর্চা করি।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের স্বার্থে কাজ করে। জনগণের কল্যাণ সাধন করেছি বলেই জনগণ ভোট দেয়। আওয়ামী লীগের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে, ইনশাল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার অধীনে দুটি নির্বাচন হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ২০০৬ সালের জানুয়ারির নির্বাচন। দুটি নির্বাচনই বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। জনগণের ভোট চুরি করায় জনগণই তাদের বিতাড়িত করে। যারা বার বার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখাত ও বিতাড়িত, তারা গণতন্ত্রটা চর্চা করল কবে? তাদের নিজেদের দলে গণতন্ত্র নেই, দলের কোনো ঠিকানা নেই। তাদের কিছু ভাড়াটে লোক দেশে-বিদেশে বসে সোশ্যাল মিডিয়াতে সারাদিন আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ফারজানা ইসলাম, অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মো. আলী আরাফাত, তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি।