নান্দনিক এক ফুটবল ম্যাচের সাক্ষী হয়ে থাকল সৌদি আরবের কিং ফাহাদ স্টেডিয়াম। সৌদি ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার আয়োজনে রিয়াদ অল স্টার বনাম পিএসজির ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে স্মরণীয় হয়ে থাকল মেসি-রোনালদোর এ দ্বৈরথ। তবে শেষ হাসি হেসেছে মেসি-এমবাপের দল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের ম্যাচে ৫-৪ গোলের জয় পেয়েছে মেসি-নেইমারের দল।

ম্যাচের শুরুতেই পিএসজিকে লিড এনে দেন মেসি। নেইমারের পাসে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ৩৪ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে রিয়াদ অলস্টারস। বক্সের মধ্যে রোনালদোকে ফাউল করেন পিএসজি গোলরক্ষক নাভাস। পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। স্পট কিক থেকে গোল করেন রোনালদো (১-১)।

৩৯ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। বাজেভাবে ফাউল করার কারণে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন হুয়ান বারনাট। ৪৩ মিনিটে এমবাপ্পের ক্রসে হালকা টোকায় অলস্টারসের জাল কাপান মারকুইনহস। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় পিএসজি। তবে নেইমারের নেয়া শট রুখে দেন রিয়াদ গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে দারুণ এক গোলে রিয়াদ একাদশকে সমতা এনে দেন অধিনায়ক রোনালদো (২-২)।

বিরতির পর খেলা হয়েছে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। তবে ২৫ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোল করে জয়টা এক প্রকার নিশ্চিতই করে ফেলে পিএসজি। শুরুটা করেন সার্জিও রামোস। ৫৩ মিনিটে এমবাপের দেওয়া পাস বটম লেফট কর্ণার থেকে জালে জড়ান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।

এবারও সমতায় ফিরতে দেরি করেনি অল স্টার একাদশ। ৫৬তম মিনিটে গঞ্জালো মার্টিনেজের পাস থেকে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন হিউন সো। কিন্তু বিধি বাম। এবারও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেনি স্বাগতিকরা।

৬০ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল হয় অল স্টারের ডিফেন্ডার আলী আল বুলায়হির। আর তাতে পেনাল্টি পেয়ে যায় পিএসজি। স্পটকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি কিলিয়ান এমবাপে।

লিড নিয়ে এবার আর অল স্টারকে সমতায় ফিরতে দেয়নি পিএসজি। উল্টো ৭৮ মিনিটে একিটিকের গোলে ২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা। এরপর আর দ্রুত ম্যাচে ফিরতে পারেনি অল স্টার। তাই অতিরিক্ত সময়ে টেলিস্কার গোল শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। ৫-৪ গোলে শেষ হয় মেসি-রোনালদোর বহুল প্রতীক্ষিত দ্বৈরথ।