চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের নবম আসরে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে উঠলো রংপুর রাইডার্স। এতে প্লে-অফে কোয়ালিফাইয়ারে খেলার দৌঁড়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো রংপুর।
১১ ম্যাচ শেষে ৮টি জয় ও ৩টি হারে ১৬ পয়েন্ট রংপুরের। একই অবস্থা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সেরও। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে দ্বিতীয়স্থানে রংপুর। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থস্থানে ফরচুন বরিশাল। লিগ পর্বে রংপুর-কুমিল্লা ও বরিশালের ১টি করে ম্যাচ রয়েছে। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে সিলেট। প্রথম দল হিসেবে ইতোমধ্যে প্লে-অফে কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিত করেছে সিলেট।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রানের সংগ্রহ গড়ে চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে ৪ ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর। টানা ষষ্ঠ জয়ে রংপুর পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে। সবার উপরে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি চট্টগ্রামের দুই ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড ও মেহেদি মারুফ। ১৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। বিপদে পড়া দলটি আরও বিপদে পড়ে পাওয়ার প্লে’র পরই।
৮ বলে ১৫ রান করে আফিফ হোসেন ফিরলে নবম ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফার ফেরেন ৩ রানে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হয়ে। তবে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জিয়াউর রহমান ও তৌফিক খান তুষার মিলে দলকে বিপদ থেকে টেনে ১০০’র পথে নিয়ে যান।
দলীয় ৯৭ রানে তুষারকে বিদায় করেন রাকিবুল হাসান। ২৬ বলে ২৮ রান করে তিনি ফিরলে ২৫ বলে ৩৩ রানে বিদায় নেন জিয়াও। এরপর শেষের দিকে ব্যাটারদের চেষ্টায় সম্মানজনক সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্টগ্রাম। ১৩২ রানে থামে দলটির ইনিংস। ২টি করে উইকেট নেন রাকিবুল ও হারিস রউফ।
ম্যাচ জিততে বড় লক্ষ্য ছিল না রংপুরের সামনে। চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২৯ বলে রান করেছেন ৪৬। এর আগে ১৩৩ রানের লক্ষ্যে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন নাঈম শেখ ও রনি তালুকদার। চতুর্থ ওভারে নাঈম শেখ আউট হওয়ার আগে দলের স্কোরবোর্ডে রান ছিল ৩৮।
নিহাদউজ্জামানের বলে বোল্ড হয়ে বাঁহাতি এই ওপেনার আউট হয়েছেন ১২ বলে ২০ করে। সঙ্গী হারালেও গুরবাজকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রনি। তাদের ব্যাটে দলীয় ৫০ পার করে রংপুর।
তবে অষ্টম ওভারে দলীয় ৫৮ রানে রনিকে বিদায় করেন জিয়াউর। ২৮ বলে ২৭ রান করে এই ওপেনার ফিরলেও ক্রিজে নেমে গুরবাজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নুরুল হাসান। এই জুটিতে রংপুর পৌঁছে যায় দলীয় শত রানে।
কিন্তু এরপর নিহাদুজ্জামানকে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন গুরবাজ। তবে ক্রিজে নেমে টম কোহলার প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। পরের ওভারের প্রথম বলে মেহেদি হাসান রানাকে ছক্কা হাঁকান নুরুল। এই জুটিতে আর পেছনে তাকায়নি রংপুর। সহজ জয় পায় তারা।