প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। তারাই আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করবে। বর্তমান সরকারের সময় ভোট কারচুপির কোন সুযোগ নেই বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। আজ (সোমবার) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোন সুযোগ নেই। কারও কোন চাপে সরকারের কিছুই হবে না। দেশের ও জনগণের স্বার্থে যা করা প্রয়োজন সরকার তাই করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘একটানা ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকার পরিচালনা করেছি। এর মধ্যে দেশে স্থিতিশীলতা রাখতে পেরেছি। কিছু অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে’। বাংলাদেশে ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি বলেও জানান তিনি।

ইভিএম নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে ওদের আপত্তি, তাই এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের উপর ছেড়ে দিয়েছি। ওরা যতটুকু ভালো বুঝে তাই করবে। কারণ কমিশনকে অবাধভাবে গড়ে তুলেছি। জনগণকে ভোটের অধিকার দিয়েছি, তাদের যাকে খুশি ভোট দিবে’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু সেটা পারবে না। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে কেমন হয়, তা আমরা প্রমাণ করে দেখিয়েছি। এর মধ্যে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত এসেছে এগুলো মোকাবেলা করে আমরা উন্নয়ন করতে পেরেছি। মানুষের প্রতি যে কমিটমেন্ট আমাদের ছিল সে জায়গায় অনঢ় ছিলাম বলেই উন্নয়ন করতে পেরেছি’।

নির্বাচন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, কাজেই এখানে দেশের জনগণের স্বার্থের কথা মাথায় রাখা হবে। কোন চাপেই কিছু করা হবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। সকলের সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে গত চৌঠা মার্চ থেকে চারদিন সফরে কাতার সফর করেন প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরের নানা বিষয় নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় কাতারে বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণ কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। এছাড়া দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিরোধী দলের আন্দোলন ও ডক্টর ইউনূস প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শেখ হাসিনা।