বাংলা মাসের সবশেষ দিনচৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন আজ (বৃহস্পতিবার)। আগামীকাল (শুক্রবার) পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০। আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি।
বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।
চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে আগামীকাল বাংলা বছরের প্রথম দিন সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেখা দেবে নতুন ভোর।
পুরনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে কাল বাঙালি মিলিত হবে পয়লা বৈশাখের সার্বজনীন উৎসবে। জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সব কিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে গোটা জাতির।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলা বছরের এই দিনটিকে পুণ্য দিন বলে মনে করেন। স্নান, দান, ব্রত ও উপবাসের মধ্যদিয়ে অন্যরকমভাবে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করেন তারা।
বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরাও। শুচি-শুদ্ধ হয়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। আগের পুরনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন, প্রস্তুতি নেন পুরনো সব হিসাব চুকিয়ে নতুন হালখাতা খোলার। নতুন বছরের প্রথম দিনে হালখাতা খোলা হয়।