সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে দেশটি কেঁপে উঠেছে, ৫৬ জন নিহত এবং প্রায় ৬০০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ  (রোববার) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। চলমান এ লড়াইয়ের কারণে দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

নিহতদের মধ্যে জাতিসংঘের তিনজন কর্মী ছিলেন, যারা একটি সামরিক ঘাঁটিতে দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের পর গুলিবিদ্ধ হন। বেসামরিক শাসনে প্রস্তাবিত স্থানান্তর নিয়ে উত্তেজনার পর সংঘর্ষ শুরু হয়।

সুদানের স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থা ডক্টরস কমিটি জানিয়েছে, এই সংঘাত কেবল সুদান নয়; আশপাশের অঞ্চলকেও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। পাশাপাশি এটি এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে উপসাগরীয় দেশগুলোকেও জড়িয়ে ফেলতে পারে। আর সেই সূত্র ধরে হাজির হয়ে যেতে পারে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো। সুদানের সশস্ত্র বাহিনী ব্যাপকভাবে সুদানের বর্তমান ডি ফ্যাক্টো শাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহানের প্রতি অনুগত। তবে অন্যদিকে আরএসএফ মোহাম্মদ হামদান দাগালোর অনুগত। যিনি হেমেদতি নামেই বেশি পরিচিত।

ফোনে আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরএসএফের কমান্ডার জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহানকে ‘ক্রিমিনাল’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, সেনাবাহিনীই অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে। আরএসএফ সেনাদের সংঘর্ষে বাধ্য করা হয়েছে।

আরএসএফপ্রধান আরও বলেন, বর্তমান লড়াই একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ প্রশস্ত করবে এবং সব অপরাধীর বিচার হবে। তার কথায়, ‘এ লড়াই কখন শেষ হবে তার কোনো সময়সীমা আমি দিতে পারছি না। তবে আমরা যতটা সম্ভব কম ক্ষতির মধ্য দিয়ে এ লড়াই শেষ করতে চাই।’

এদিকে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান ও আরএসএফ নেতা জেনারেল হামদানকে অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদক।