প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলছে সরকার। বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করেই দেশের অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ (রোববার) গণভবনে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের অষ্টম সভায় তিনি একথা বলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে দরকার প্রযুক্তিনির্ভর জনগোষ্ঠী। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, রাস্তা-ঘাটসহ দেশের সার্বিক উন্নতি হয়েছে। সেইসঙ্গে আমাদের জনগোষ্ঠীও যেন আগামী দিনের পথচলায় সমানভাবে প্রশিক্ষিত হয়, সেভাবে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত। সেভাবে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তাই প্রশিক্ষণের ব্যাপারে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে’।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো বিষয়ে আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এরজন্য উপযুক্ত জনশক্তিও আমাদের প্রয়োজন। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি, যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে। এর জন্য আমাদের প্রশিক্ষিত কর্মী লাগবে’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পর যারা আসবে, তারা যেন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে, গণতান্ত্রিক ধারাতে যেন অব্যাহত থাকতে পারে, সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে’।

একটি দেশের উন্নয়নে রাজনীতির ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থাপনা ছাড়া কোন দেশ অগ্রগতি লাভ করতে পারে না। একটি গোষ্ঠী দেশের উন্নয়নে সব সময় বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

দেশের দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন এবং দেশকে উন্নত করতে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে পরিবর্তন করতে।