মেট্রোরেল লাইন-৪, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সিগন্যালিং আধুনিকায়ন ও বিআরটিসি এসি বাসের জন্য ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল নাগাদ নমনীয় সুদে এ ঋণ দেয়া হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কোরিয়ার ইনচেনে ইকনমিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিসিএফ) অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকার ও কোরিয়ার মধ্যে এ ঋণ সহায়তার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঋণ সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। এই ঋণে বাৎসরিক সুদের হার হবে শুন্য দশমিক শুন্য ১ শতাংশ থেকে শুন্য দশমিক শুন্য ৫ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৪০ বছর এবং গ্রেস পিরিয়ড ১৫ বছর।

ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সহায়তায় ৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারে মোট ১৭টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়া ৬১ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার ডলারের ৭টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে। কোরিয়া সরকার এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ১৪৪ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার নমনীয় ঋণ মঞ্জুর করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা প্রদান করে আসছে।

কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট পরিমাণে সহায়তা বৃদ্ধির সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে একটি নতুন  ইডিসিএফ ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট স্বাক্ষর বিশেষভাবে অর্থবহ। রেয়াতযোগ্য ঋণের যথেষ্ট পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে কোরিয়া বাংলাদেশে মেগা প্রকল্পে সহায়তা করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশের ক্রমাগত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। আমি আশা করি এই ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা বাংলাদেশের জনগণের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা যেমন পরিবহন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে অবদান রাখবে। বাংলাদেশ ও কোরিয়ার জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।