নিজেদের তৈরি প্রথম হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে ইরান। মঙ্গলবার (৬ জুন) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাহিসি ও অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের কমান্ডারদের উপস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্রটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ইরানি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ’র বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, এ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ফাত্তাহ বা বিজয়ী। এটি উন্মোচনের পর তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা সম্পর্কে পশ্চিমাদের উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী রেভ্যুলশনারি গার্ডস এরোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমিরালি হাজিজাদেহ বলেছেন, ফাত্তাহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভুলভাবে ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার বেগে সমস্ত প্রতিরক্ষা ঢাল ভেদ করতে সক্ষম।
ব্যালিস্টিক ফাত্তাহ শব্দের গতির চেয়ে অন্তত পাঁচগুণ দ্রুত ও জটিল গতিপথে উড়তে পারে। প্রতিপক্ষের জন্য এটি আটকে দেওয়া কঠিন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় বিরোধিতা সত্ত্বেও ইরান বলেছে, তারা তার প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আরও উন্নত করবে। তবে পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান কখনো কখনো তার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাকে অতিরঞ্জিত করে।
ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছয়টি প্রধান শক্তির সঙ্গে তেহরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে অবদান রেখেছিল।
ট্রাম্প পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করেন, যার ফলে তেহরান পূর্বে নিষিদ্ধ পরমাণু কাজ পুনরায় শুরু করে এবং মার্কিন, ইউরোপীয় এবং ইসরায়েলিদের আশঙ্কা পুনরুজ্জীবিত করে যে ইরান পারমাণবিক বোমার দিকে ঝুঁকতে পারে। ইরান ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা অস্বীকার করে আসছে।
পরমাণু সমঝোতা রক্ষায় তেহরান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা গত সেপ্টেম্বর থেকে স্থবির হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েল তেহরানের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিশ্ব শক্তির প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে এবং কূটনীতি ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে।