আবারো উত্তাল হয়ে উঠেছে সুদান। এবার সুদানের রাজধানী খার্তুম সংলগ্ন শহর ওমদুরমানে বিমান হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সপ্তাহব্যাপী লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা এটি। হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাজধানী খার্তুমের পার্শ্ববর্তী শহর ওমদুরমানের একটি আবাসিক এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয়। জাতিসংঘ তাৎক্ষণিকভাবে ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
সামরিক বাহিনী এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষের একটি। গত মাসেও এক বিমান হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়। এর মধ্যে পাঁচ শিশুও ছিল।
এদিকে হামলার তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এর আগে, গত মাসে খার্তুমে একটি বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়।
গত ১৫ এপ্রিল সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর সুদানের আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) রাজধানী খার্তুম, ওমদুরমান এবং বাহরির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আরএসএফের দ্রুত আধিপত্য বিস্তারের পর থেকে এসব এলাকায় প্রতিনিয়ত বিমান ও কামান হামলা শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
আবাসিক এলাকায় হওয়া এই হামলা জন্যও সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে আরএসএফ। তারা বলছে হামলা ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে আরএসএফ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘এই জঘন্য হামলা সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) দ্বারা সংগঠিত…যার কারণে ৩১ জনেরও বেশি প্রাণ এবং অসংখ্য বেসামরিক আহত হয়েছে। ’
যদিও সামরিক বাহিনীর কোনো মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি।