রংপুর বিভাগীয় জনসভার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বুধবার (২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতাপাঠ করা হয়। বিকেল ৩টায় জনসভার মঞ্চে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী।

এরই মধ্যে রংপুরের ঐতিহাসিক জিলা স্কুল মাঠ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে গেছে। মাঠ ছাড়িয়ে প্রধান সড়কের দুই দিকে অবস্থান নিয়েছেন বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা। নানা রঙের পোশাক আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে গান গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেকে রাতেই এসে সমাবেশস্থলের আশেপাশে অবস্থান নিয়েছেন। এ ছাড়া সমাবেশের প্রবেশপথে গাইবান্ধা ও দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের উপস্থিত হয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

সমাবেশ উপলক্ষে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম থেকে রংপুরে ৮টি বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এসব ট্রেনে করে ৮ জেলার ৫৮টি উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন।

জিলা স্কুল মাঠ ও আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জনসভার মাঠে প্রবেশের জন্য ৩টি গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেটগুলোতে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। একটি গেট দিয়ে লাল, হলুদ ও সবুজ কার্ডধারীরা প্রবেশ করতে পারবেন।

এ ছাড়া মঞ্চের সঙ্গে আরেকটি ভিআইপি গেট রয়েছে। যে গেট দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য অতিথিরা প্রবেশ করবেন।

দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রংপুরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কঠোর অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। যারা মাঠে প্রবেশ করবেন, তাদের প্রত্যেককে পুলিশ তল্লাশি শেষে প্রবেশ করতে দেবেন। কড়া নজরদারিতে রয়েছে এসএসএফ। এ ছাড়া মঞ্চের পেছনে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। সাড়ে ৪ বছরের বেশি সময় পর শেখ হাসিনা রংপুরে আসছেন। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় এসেছিলেন তিনি।