তিব্বতের ১০ লাখের বেশি শিশুকে সরকার পরিচালিত আবাসিক স্কুলে যেতে বাধ্য করার সঙ্গে জড়িত চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।  যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর মঙ্গলবার (২২শে আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীনের এই জবরদস্তিমূলক নীতির মাধ্যমে তিব্বতের তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে তদের স্বতন্ত্র ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, চীনের ‘জবরদস্তিমূলক’ নীতি ‘তিব্বতের তরুণ প্রজন্মের মন থেকে তিব্বতের স্বতন্ত্র ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যগুলো দূর করতে চায়’৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘আমরা পিআরসি কর্তৃপক্ষকে তিব্বতের শিশুদের সরকার পরিচালিত বোর্ডিং স্কুলে জোর করে ভর্তি করানো এবং দমনমূলক আত্তীকরণনীতি বন্ধ করার অনুরোধ করছি৷”

বিবৃতিতে জাতিসংঘের ঐ তিন বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

চীন কী বলছে?

ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ ‘চীন-মার্কিন সম্পর্ককে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে’৷ তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেনে চীনে বোর্ডিং স্কুল স্থাপন করা হয়৷”

চীনা দূতাবাসের ঐ মুখপাত্র বলেন, ‘‘চীনের জাতিগত সংখ্যালঘু অঞ্চলগুলোতে বোর্ডিং স্কুল ধীরে ধীরে স্কুল পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে৷” তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অধীনে স্কুলগুলো পরিচালিত হওয়ায় জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের অনেক পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে যে সমস্যা হত, তারও সমাধান হয়েছে৷