ম্যাচে আগে গোল পেয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই। তবে তা ধরে রাখতে পারেন এক মিনিটও। ২৭তম মিনিটে গোল করেন ম্যানইউর ইংলিশ তারকা মার্কাস রাশফোর্ড। কিন্তু পরের মিনিটেই আর্সেনালকে সমতায় ফেরান মার্টিন ওডেগার্ড। আর ম্যাচের যোগ করা সময়ে দুর্দান্ত গানাররা আদায় করে জোড়া গোল।

এমিরটাসে বরাবরই অপ্রতিরোধ্য আর্সেনাল শুরু থেকেই ছিল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে। ১৪ মিনিটে সিক্স ইয়ার্ড বক্সের সামনে থেকে হ্যাভার্জ শট নিতে ব্যর্থ না হলে এগিয়েও যেতে পারত তারা। খেলার গতির বিপরীতে ম্যাচের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল করে ইউনাইটেড। ২৭ মিনিটে হ্যাভার্জের ভুল পাস থেকে বল পান এরিকসেন, দেরি না করে রাশফোর্ডকে সামনে পাস দেন তিনি। একা আক্রমণে উঠে, বাঁ পাশ দিয়ে বক্সে প্রবেশ করে, দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে ভিতরে কাট-ইন করে নিখুঁত শটে রেড ডেভিলসদের এগিয়ে দেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।

তবে আত্মবিশ্বাসী আর্সেনাল ম্যাচের সমতা ফেরাতে কোন সময়ই নেয়নি।পরের মিনিটেই দারুণ এক ফিনিশে স্কোরলাইন ১-১ করেন ওডেগার্ড।সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতির পর ম্যাচে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে ইউনাইটেড।আর্সেনালের আক্রমণের চাপ সামলে দারুণ কিছু পাল্টা আক্রমণ সাজায় এরিক টেন হেগের দল। ৮৮ তম মিনিটে তেমনি একটি আক্রমণ থেকে গোল পেয়ে গিয়েছিল দলটি,তবে অফসাইডডের কারণে সেটি বাতিল হয়।সেই সময় মনে হচ্ছিল প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারবে রেড ডেবিলসরা। তবে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় সেটি আর হয়নি।