নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে তিন ব্যাটারের ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক মিচেল স্যান্টনারের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ডাচরা। যার সুবাদে বাঁহাতি এই স্পিনারের ফাইফারে হেসেখেলে সহজেই জয় তুলে নিলো কিউইরা। সেই সাথে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এল টম ল্যাথামের দল।
সোমবার (৯ অক্টোবর) হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র ও অধিনায়ক টম লাথামের ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ৩২২ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৬.৩ ওভারে ২২৩ রানেই শেষ হয়ে যায় নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। এতে ৯৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিউইরা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা তুলনামূলক ভালোই করেছিল নেদারল্যান্ডস। নতুন বলে ট্রেন্ট বোল্ড-ম্যাট হেনরিদের সামলে ৩৬ বল স্থায়ী হয়েছিল ডাচদের উদ্বোধনী জুটি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো বিক্রমজিত এদিন মাত্র ১২ রান করেই বিদায় নেন। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান হেনরি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে গেছে তারা।
তিনশোর্ধ্ব রান তাড়ায় বড় জুটির যে প্রয়োজন ছিল, তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন ডাচ ব্যাটাররা। মিডল ওভারগুলোতে স্পিনাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। তারপরও ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন কলিন অ্যাকারম্যান। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার থেমেছেন ৭৩ বলে ৬৯ রান করে। তার ফেরারা পর খানিকটা সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন স্কট এডওয়ার্ডস। তবে অধিনায়ক ২৭ বলে ৩০ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২২৩ রানে থেমেছে ডাচরা।
বল হাতে মিচেল স্ট্যান্টনার ১০ ওভারে ৫৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। ডানহাতি পেসার ম্যাট হেনরি পান ৩ উইকেট। এছাড়া একটি উইকেট শিকার করেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন উইল ইয়ং ও ডেভন কনওয়ে। এ দুই জনের ব্যাট থেকে ভালো শুরু পায় কিউইরা। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ব্যক্তিগত ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন আগের ম্যাচে দেড়শ করা কনওয়ে। সাজঘরে ফেরেন ৩২ করে।
কনওয়ের বিদায়ে উইকেটে আসেন রাচিন রবীন্দ্র। তাকে সঙ্গে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি গড়েন ইয়ং। এরপর মিকেরেনের বলে বাসের তালুবন্দী হন ইয়ং। এদিন ৭০ রানের ইনিংসটি সাত বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় সাজিয়েছেন তিনি। ইয়ংয়ের বিদায়ে খানিকটা চাপে পড়ে কিউইরা।
তবে সেই চাপ মুহূর্তেই সামলে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন রবীন্দ্র। একই সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধ শতক তুলে নেন তিনি। অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। মারওয়ের বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরাড় আগে ৫১ রান করেন তিনি।
পরে ক্রিজে আসেন কিউই দলপতি টম লাথাম। উইকেটে এসেই হাতখুলে ব্যাটিং শুরু করেন তিনি। তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। আউট হওয়ার আগে ৪৬ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে ৬টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান কিউই অধিনায়ক। শেষ দিকে মিচেল স্যান্টনারের ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। নেদারল্যান্ডসের হয়ে বল হাতে রোলেফ ভ্যান ডার ম্যারে, আরিয়ান ডুট ও পল ভ্যান মিকিরিন নেন ২টি করে উইকেট।