সন্তান প্রসবে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। জারিকৃত নীতিমালাকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতেও বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে জনসচেতনতা তৈরি করতে এ সংক্রান্ত নীতিমালাগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা নেয়ারও আদেশ দেয় আদালত।

২০১৯ সালের ৩০ জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওই সময় ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেছিলেন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ এর বেশি সিজার কোনো দেশেরই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে এটা প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ ভাগ। এই যে একটা এলার্মিং রাইজ, রেটটা যে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটাকে থামানোর জন্য এ মামলা।

আদালতে চীন এবং ব্রাজিলের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, চীনে সিজারের হার বিশ্বের মধ্যে খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নতুন রুলস রেগুলেশন প্রণয়ন এটা কমিয়ে এনেছে।

তিনি বলেন, গ্রামেগঞ্জে যে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো আছে, সেগুলো কোনো ধরনের সরকারি মনিটরিং ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সিজারিয়ান সেকশন করে যাচ্ছে। এটা থেকে অনেকের অমানবিক মৃত্যুও ঘটেছে।

এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনযুক্ত করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে তাদের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম এ রিট দায়ের করেন।