বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে বাবর আজমকে। যদিও তার পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত অধিনায়কত্বই ছেড়ে দিলেন। পাকিস্তানের টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সব সংস্করণেরই নেতৃত্ব ছেড়েছেন তিনি।বুধবার (১৫ নভেম্বর) নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে এক বিবৃতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বাবর।
বিবৃতিতে বাবর বলেন, আজ আমি সব ফরম্যাটে পাকিস্তানের অধিনায়কের পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি মনে করি, সিদ্ধান্তটি নেওয়ার জন্য সঠিক সময় এসেছে। তবে তিন ফরম্যাটেই আমি একজন খেলোয়াড় হিসেবে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করে যাব।
আমার অভিজ্ঞতা এবং ত্যাগ স্বীকার করে নতুন অধিনায়ক এবং দলকে সমর্থন করে যাব। আমার হাতে এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই।
বাবর আরও বলেন, ২০১৯ সালে পাকিস্তানের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য যখন আমি পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) থেকে ডাক পেয়েছিলাম, সেই মুহূর্তটি আমি স্পষ্টভাবে স্মরণ করি। গত চার বছরে মাঠ এবং মাঠের বাইরে অনেক উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। কিন্তু আমি আন্তরিকতা এবং আবেগের সাথে ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তানের গর্ব এবং সম্মান বজায় রাখার লক্ষ্যে কাজ করেছিলাম।
২০১৯ সালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন বাবর আজম। টেস্ট ক্রিকেটের দায়িত্ব পান ২০২০ সালে। নেতৃত্ব দেওয়ার সময় পাকিস্তানের সাবেক কয়েকজন ক্রিকেটারের সমালোচনায় পড়তে হয়েছে তাকে। অনেকেই অসন্তোষ জানিয়েছিলেন তার অধিনায়কত্বের।
চার বছর ধরে দায়িত্ব পালন করলেও তার অধীনে থেকে এখনও আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট জেতা হয়নি পাকিস্তানের। যদিও দলকে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বরে তুলেছিলেন। তবে বিশ্বকাপে এসেই শুরু হয় ভরাডুবি। নয় ম্যাচ খেলে তারা হেরেছে পাঁচটিতেই। শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়তে হয়েছে নেতৃত্ব।
দলের পরবর্তী দায়িত্ব কে পাবেন এই নিয়ে অফিসিয়াল কিছু জানানো না হলেও পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বলছে টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব নিতে পারেন শান মাসুদ। টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পেতে পারেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।