দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল হওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) প্রথম দিন ৪২ জন প্রার্থী আপিল আবেদন জমা দিয়েছেন। যাদের অধিকাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী। মনোনয়ন বাতিল হওয়া বেশির ভাগের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে জটিলতা ছিল।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ ও শুনানি ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। আপিলে প্রার্থিকা ফিরে পাবেন বলে আশা আবেদনকারীদের। অন্যথায় উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান অনেকে।

জাতীয় সংসদের ৩শ’ আসনে ২ হাজার ৭শ ১৬ প্রাথীর জমা দেয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১৯৮৫ জনকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার ঢাকার নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে।

নির্বাচন ভবনে ১০টি অঞ্চলের জন্য আলাদা বুথগুলোতে ছিলো প্রাথীদের চাপ। কেউ এসেছেন আপিল আবেদন করতে, আবার কেউ এসেছেন আবেদনের সঠিক নিয়ম জানতে আইনজীবীর পরামর্শ নিতে।

প্রার্থিতা বাদ পড়ার বেশিরভাগই কারণ ছিলো ১ শতাংশ ভোটার সাক্ষ্য না থাকা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ, ভোটারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এমন কাজ করা হয়েছে এবার প্রমাণসহ কাগজ জমা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, বকেয়া বিল ও ঋণখেলাপির কারণে বাদপড়া ও দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা বলেন, সামান্য ভুলের জন্যও মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আপিলে সঠিক রায় না পেলে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান কেউ কেউ। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল আবেদন গ্রহণ এবং ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি হবে।