আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ নেই আওয়ামী লীগের। সংবিধান মেনেই আমরা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বরেন, ‘আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা আমাদের সংবিধান মেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনার অধীনে একটা শান্তিপূর্ণ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? নিষেধাজ্ঞা এখন কম্বোডিয়ায় দিয়েছে, এটা তাদের ব্যাপার, কেন দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এলে এখানে বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে, যারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। আমেরিকা তো বলছে, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে। সেটা হচ্ছে না কেন? তারা নাশকতা করছে, গাড়ি জ্বালাচ্ছে, ট্রেন পোড়াচ্ছে, মানুষ মারছে। এটাই তো সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের বিরোধিতা। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় সেটা শুধু একমাত্র বিএনপি ও তার দোসররাই এ নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সবসময় স্বাধীন। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাব। কোনো বাধা বিপত্তি, হুমকি,  নাশকতা, সন্ত্রাস, এই নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারে না। কারণ, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এদেশের জনগণ আজ নির্বাচনমুখী। নির্বাচনমুখী ভোটাররা যেকোনো উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। এতে যারা বাধা দেবে, কার্যক্রমের বিপত্তি সৃষ্টি করবে, তাদের দেশের ভোটাররাই প্রতিহত করবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থে একটি মহল শ্রমিকদের ব্যবহারের পাঁয়তারা করছে। আমাদের অর্থনৈতিক স্বার্থে গার্মেন্টসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত করতে ডিসি ও ওসিদের বদলি করা হচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের অনেক এমপি-মন্ত্রী কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। যা বিরল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আমরা সবার পুরোপুরি সহযোগিতা চাইছি। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীসহ প্রমুখ।