নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় শহরের মাসদাইর এলাকায় সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে ভাষণ দেবেন তিনি। এ উপলক্ষে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।
নারায়ণগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিতে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছেন নেতা–কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় শহরের ইসদাইরে এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
সরেজমিন দেখা গেছে, আজ বেলা ১১টা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন। জনসভা উপলক্ষে মাঠে নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চের সামনে বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনসভাস্থলের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয়ও বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।
১৬ বছর ধরে শহরের বাবুরাইল এলাকায় ভাড়া থাকেন ষাটোর্ধ্ব সেকেন্দার আলী। পেশায় কলা বিক্রেতা তিনি। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালী জেলার পুকুরজানি এলাকায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জীবনভর নৌকায় ভোট দিয়ে আসছি। নেত্রীর মিটিংয়ে আসছি নেত্রীর কথা শুনতে। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, তা অন্য কোনো সরকার দেয়নি।’
জনসভাস্থলে আসা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী রোমানা আক্তার বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি। আমরা আওয়ামী লীগ পরিবার। নেত্রীকে দেখতে আসছি। নেত্রীর কথা শুনতে আসছি।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই প্রথম আলোকে বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা জনসভায় অংশ নেবেন। জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছেন, মাঠ ভরে আশপাশে সড়কে ও পাশের মাঠে লোকজন দাঁড়াবেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চার প্রার্থী ও লাঙ্গলের প্রার্থীও জনসভায় থাকবেন। তাঁদের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন দলীয় প্রধান।