আগামী ৯ই মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। একই দিনে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদেও উপ-নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।

নির্বাচন ভবনে আজ সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এসময় তিন বলেন  দুই সিটি কর্পোরেশনে ভোট হবে ইভিএমে।

এসময়, তিনি বলেন ঈদের আগে উপজেলা নির্বাচন হবার সম্ভাবনা নেই। ৪ থেকে ৫ ধাপে হবে এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে পৌরসভা, জেলা পরিষদ এবং সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকি নির্বাচনগুলো ব্যালট পেপারের মাধ্যমে করা হবে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে প্রথম নির্বাচন হয় ২০১৯ সালে। সেবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন ইকরামুল হক টিটু।

অন্যদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০২২ সালের ১৫ জুন। সেই ভোটে জিতে মেয়র নির্বাচিত হন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত।

গত ১৩ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হলে এ সিটির মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর বলেন, “উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আমরা এখনও পর্যালোচনা করছি এবং দেখছি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১২ মার্চে শেষ হবে। আবার ১০ বা ১১ মার্চ রোজা শুরু হবে। এসব বিষয় বিবেচনা করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, “উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে যে নির্বাচনগুলো করতে হবে, সেগুলো ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কিছু হবে। বাকিগুলো কয়েকটা ধাপে মে মাসে করা হবে। কারণ জুন মাসে আবার এইচএসসি পরীক্ষা।

“এজন্য আমরা এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চাই। উপজেলার যেই তালিকগুলো আমরা পেয়েছি, সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। ঈদের আগে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই কিছু সংখ্যাক নির্বাচন করব। প্রায় ১০০ উপজেলার নির্বাচনের জন্য এ সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত হতে পারে।”

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংরক্ষিত আসনের ভোট নিয়ে যাচাই-বাছাই হচ্ছে। সহসাই হয়ে যাবে। যেহেতু আইনের বাধ্যবাধকতা আছে যে, সংসদ নির্বাচনের এক মাসের মধ্যে করতে হয়।”