সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে মাকে কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। ১৮৯০ সালের অভিভাবকত্বের আইনে সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মাকে স্বীকৃতি দিয়ে কেন নীতিমালা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ  বিষয়ে দায়ের করা একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন সচিব, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত জানান, এই আইনটি বৈষম্যমূলক, এ নিয়ে আবারও ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৪শে জানুয়ারি শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব ফরম পূরণের ক্ষেত্রে অভিভাবকের জায়গায় বাবা অথবা মাকে আইনগত অভিভাবক রাখার নির্দেশ দিয়ে ঐতিহাসিক এক রায় দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার্থীর তথ্য সংক্রান্ত ফরম (এসআইএফ) সংশোধনের মাধ্যমে ‘বাবা’ অথবা ‘মা’ অথবা আইনগত অভিভাবকের নাম যুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হাইকোর্টের রায় প্রকাশিত হয়। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর ১৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশিত হয়।

রায়ে সব ফরম সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সব শিক্ষাবোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। তাই এ রায়ের ফলে ‘বাবা অথবা ‘মা’ অথবা ‘আইনগত অভিভাবকের যে কারও একজনের নাম দিয়ে ফরম পূরণ করা যাবে বলে জানান আইনজীবীরা।