দুর্ভিক্ষের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা। উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের ২৩ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে। দুর্ভিক্ষ এড়াতে এখনই জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। বুধবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

এ বিষয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি প্রধান অর্থনীতিবিদ আরিফ হোসেন সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সোমালিয়ায় ২৫০,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল। সেখানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণার আগেই অর্ধেক লোক মারা গিয়েছিল। গাজায় এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধের প্রয়োজন।

অঞ্চলটির প্রবেশ পথে ইসরাইলি অবরোধের কারণে বাইরে থেকে ত্রাণ সরবরাহ কমে যাওয়ায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের মধ্যে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা গাজার বেশিরভাগ জনসংখ্যার মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করে আসছে।

তবে তাদের বণ্টন মূলত মিশর থেকে গাজায় প্রবেশ পথ রাফা এবং ইসরাইলের নিকটবর্তী প্রবেশপথ কেরেম শালোমের মধ্য দিয়ে ট্রাক চলাচলের উপর নির্ভর করে। সম্প্রতি উত্তর গাজায় কিছুটা খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হলেও দক্ষিণ গাজায় সরবরাহ একদম বন্ধ হয়ে পড়েছে।