লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নুরুল ইসলাম (৫০) নামে এক বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে (২৬ জুন) কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচি সীমান্তের ৯১৯ নম্বর পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নুরুল ইসলাম সীমান্তবর্তী গোড়ল ইউনিয়নের দুলালী গ্রামের মৃত মাইনুদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি গরুর ব্যবসা করতেন। এ ঘটনায় বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভোরে নুরুল ইসলামসহ আট-নয়জনের একটি দল গরু আনতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সিতাই এলাকায় গিয়েছিলেন। সেসময় সীমান্তে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। নুরুল গুলিবিদ্ধ হলে সঙ্গীরা তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আসার পর তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘নিহত নুরুল ইসলাম একজন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ভারত থেকে গরু এনে বাংলাদেশে বিক্রি করতেন।’
‘এ কাজ যারা করেন সীমান্ত এলাকায় তাদের “ডাঙ্গোয়াল” বলা হয়। তারা খুব সাহসী ও দুর্ধর্ষ হন। তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত থেকে গরু আনতে চলে যান’, বলেন তিনি।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের লোহাকুচি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’