সৌদি আরবের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে শুক্রবার (৯ আগস্ট) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা চালানোর মতো কিছু গোলাবারুদ সৌদিতে বিক্রি-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। প্রচলিত অস্ত্র হস্তান্তর নীতির আলোকে ধাপে ধাপে এসব গোলাবারুদ সৌদির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাইডেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তার দাবি, চুক্তির শর্ত পূরণ করায় কংগ্রেসের নির্দেশনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। অস্ত্র বিক্রি শুরু হতে পারে আগামী সপ্তাহ নাগাদ।
গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, পারমাণবিক শক্তি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং রিয়াদ ও তেল আবিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় তার দেশ। এ জন্য একগুচ্ছ চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব।
এদিকে বাইডেন প্রশাসন একটি বিস্তৃত চুক্তির অংশ হিসেবে রিয়াদের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার জন্য একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। মূলত ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি অনুঘটক হিসেবে এটি কাজ করবে বলে আশা করছে বাইডেন প্রশাসন।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শক্ত নীতি গ্রহণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশেষ করে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ওপর সৌদির সামরিক অভিযানে সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোশির হত্যাকাণ্ড ঘিরেও সৌদির বিরুদ্ধে সরব ছিল মার্কিন প্রশাসন। ওই অবস্থায় মার্কিন অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সৌদি আরবের কাছে বেশ কয়েক ধরনের ভারী অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।