অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি। এছাড়া সরকারের মধ্যেও যে দুএকজন অভ্যুথানের স্পিরিট ব্যহত করছে তাদেরকে সরিয়ে দিতে।

আজ শনিবার দুপুরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে অংশ নিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। সংলাপে প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের অন্য উপদেষ্টারাও।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, তার দল অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে। দাবি জানিয়েছে, বিতর্কিত কোন ব্যক্তি যাতে নির্বাচন কমিশন সংস্কারে না যায়।

বৈঠকে বিএনপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে ভারত থেকে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সে সম্পর্কে ভারতের সাথে আলোচনা করতে।

সংস্কার প্রশ্নে বিএনপি সরকারকে পরামর্শ দেয়, সকল ইউনিয়ন পরিষদকে বাতিল করতে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিল করে এন আই ডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখতে ও হাইকোর্টে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে।

এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের ভুয়া জাতীয় নির্বাচন সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। দাবি তোলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পেছনে যে ব্যাক্তির ভূমিকা ছিলো তাকে বিচারের আওতায় আনার।

মির্জা ফখরুল বলেন, “গণহত্যায় জড়িতরা এখনো বিভিন্ন স্থানে বহাল আছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”

সংখ্যালঘুদের নির্যাতনকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানই হওয়া উচিত অন্তবর্তী সরকারের প্রথম প্রায়োরিটি।