ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৫৮ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং বহুতল আবাসিক ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে। উত্তর গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্ধকার ও ধ্বংসস্তুপের কারণে উত্তর গাজায় পৌঁছাতে পারছে না উদ্ধারকর্মীরা। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের সীমানায় হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। ওই সময় প্রায় ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসে হামাসযোদ্ধারা। তার পর থেকে পাল্টা প্রতিশোধে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজায় বসবাসকারী দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনিদের জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দখলদারদের আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।