ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতের এ সংখ্যা জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নতুন করে নিহতের ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যায় মৃতের সংখ্যা ৫২,৩১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। প্রায় দুই মাস শান্তি বজায় থাকলেও মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে হামাসের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ফের ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হয়।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫ হাজার ৫৯৮ জন আহত হয়েছেন। এই হামলা মূলত চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পূর্ণভাবে ভঙ্গ করা হয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫৩ হাজার ৩০০ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

তবে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরাইল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে ২০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি।