বিএনপি চেয়ারপারসন আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৫ সালের এই দিনে তিনি দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদার দম্পতির তৃতীয় সন্তান তিনি। এবারের জন্মদিনে তাঁর নির্দেশনায় আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কাটায় দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিএনপি। তবে দিবসটি উপলক্ষে তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় রাজধানীসহ সারা দেশে দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দ্বিতীয়বারের মতো মুক্ত পরিবেশে জন্মদিনটি পালিত হচ্ছে। গত ১৭ বছর তিনি দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপসহীনভাবে সংগ্রাম করেছেন। জেল খেটেছেন, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তবুও আপস করেননি।

জন্মদিন উপলক্ষে দলীয়প্রধানের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আজ শুক্রবার সারা দেশের মসজিদে ও দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি। পৈতৃক নিবাস ফেনীর ফুলগাজী হলেও তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দিনাজপুরে বাবার কর্মস্থলে।

১৯৬০ সালের আগস্টে তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন খালেদা জিয়া। এ দম্পতির দুই সন্তান, তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর ও ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্ট আরাফাত রহমান কোকোর। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে বিপথগামী সৈন্যদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন।

এর পরপরই জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপির রাজনীতিতে আগমন ঘটে খালেদা জিয়ার। দলের নেতা-কর্মীদের দাবির মুখে ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি বিএনপির সদস্য হন। নব্বইয়ে তৎকালীন সরকারবিরোধী দীর্ঘ আপসহীন আন্দোলনের পর ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এ পর্যন্ত তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।