চলতি বছর ফিফা দ্য বেস্ট মেনস প্লেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার উসমান দেম্বেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ফিফা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এর মাধ্যমে ২০২৫ সালে নিজের সাফল্যের ঝুলিতে আরেকটি বড় অর্জন যোগ করলেন দেম্বেলে। এর আগে সেপ্টেম্বরে তিনি জিতেছিলেন ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সম্মান ব্যালন ডি’অর।

গত মৌসুমে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) হয়ে স্বপ্নের মতো সময় পার করেছেন দেম্বেলে। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং ইউরোপ সেরার মঞ্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সবখানেই তার পারফরম্যান্স ছিল অনবদ্য। পরিসংখ্যানও কথা বলেছে তার পক্ষে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে করেছেন ৩৫ গোল, যার মধ্যে ৮টিই এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১৬টি গোল। ফরাসি সুপার কাপে জয়সূচক গোল এবং দলকে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার কারিগরও ছিলেন এই ২৮ বছর বয়সী তারকা।

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সবখানেই গত মৌসুমে পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান দেম্বেলে। পিএসজিকে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। এছাড়া, ফরাসি সুপার কাপেও জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন এই ২৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

পিএসজির হয়ে গত মৌসুমে দেম্বেলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে ৩৫ গোল করেন, যার মধ্যে ৮টি গোল আসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। পাশাপাশি তিনি ১৬টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। এদিকে ফিফা দ্য বেস্টে বর্ষসেরা নারী ফুটবলার হয়েছে আইতানা বনমাতি। স্পেন ও বার্সেলোনার এই তারকা সর্বশেষ ব্যালন ডি’অর-ও জিতেছিলেন দেম্বেলের সঙ্গে।

এদিকে নারী ফুটবলে নিজের আধিপত্য ধরে রেখেছেন আইতানা বোনমাতি। বার্সেলোনা ও স্পেনের এই তারকা মিডফিল্ডার টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য বেস্ট ফিফা উইমেন্স প্লেয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন। দেম্বেলের মতো তিনিও এবার ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন।

খেলোয়াড়দের মতো কোচিং ক্যাটাগরিতেও জয়জয়কার পিএসজির। বর্ষসেরা পুরুষ কোচ নির্বাচিত হয়েছেন পিএসজির ডাগআউটের মাস্টারমাইন্ড লুইস এনরিকে। অন্যদিকে নারী ফুটবলে সেরা কোচের পুরস্কার গেছে ইংল্যান্ডের সফল কোচ সারিনা উইগম্যানের ঝুলিতে।

বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার বা ‘পুসকাস অ্যাওয়ার্ড’ গেছে আর্জেন্টিনায়। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া চোখ ধাঁধানো এক বাইসাইকেল কিকের জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন আর্জেন্টাইন ক্লাব ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তের সান্তিয়াগো মন্টিয়েল।