নায়িকা পরীমণি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার। তার নাম গোলাম সাকলায়েন। তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান জোনের এডিসি হিসাবে কর্মরত আছেন। আলোচিত বোট ক্লাব মামলার তদারক কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।
এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত চলাকালে তার সঙ্গে পরীমনির ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। বিষয়টি নিয়ে গতকাল শুক্রবার একাত্তর টেলিভিশন এবং আজ বাংলা ট্রিবিউনে খবর প্রকাশিত হয়। ওই দুটি গণমাধ্যমের দাবি, সর্বশেষ ১ আগস্ট সকাল ৮টায় পরীমণি ওই পুলিশ কর্মকর্তার সরকারি বাসায় যান এবং রাত ২টায় সেখান থেকে নামেন। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য রয়েছে। এডিসি গোলাম সাকলায়েন সরাসরি পরীমনির সঙ্গে পরিচয় বা সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকারও করেননি এসব গণমাধ্যমের কাছে। অবশ্য তিনি বলেছেন,পরীমনির দায়েকৃত মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। এখন এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন।
বোট ক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পরীর সঙ্গে সাকলায়েনের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। তবে বিষয়টি এতদিন অজ্ঞাত কারণে গোপন ছিল। র্যাবের হাতে পরী গ্রেফতারের পর ডিবি কর্মকর্তার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি সামনে এলো। এ নিয়ে গোয়েন্দা চ্যানেলে নানা ধরনের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। তাদেরকে হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একত্রে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দিনভর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে পক্ষে-বিপক্ষে এ নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বিষয়টিকে অপপ্রচার বলেও মনে করেন। তবে বেশিরভাগ কর্মকর্তাই এটিকে সত্য বলে ভাবচেন। কারন একটি ভিডিও ফুটেজে সাকলায়েন এবং পরীকে একই গাড়ি থেকে বাসায় নামতে দেখা যায়। পহেলা আগস্ট সকালে সাকলায়েনের রমনা এলাকার সরকারি বাসার সামনে পরীর ব্যবহৃত হ্যারিয়ার জিপ পার্ক করা ছিল। গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-৯৬৫৩।
এ সময় পরীর গাড়ি চালক নাজির হোসেন গাড়িতে বসেছিলেন। গোলাম সাকলায়েন রাজারবাগ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের ৯/সি ফ্ল্যাটে থাকেন।